এবার ডিজিটাল টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ল মধ্যপ্রদেশের এক ছাত্র। এমন কি তাঁর কীর্তি দেখে হতবাক শিক্ষকরাও। মাইক্রো ব্লু-টুথ ডিভাইস একেবারে কানের চামড়ার নীচে ঢুকিয়ে নিয়েছিল সেই ছাত্র। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না। প্রসঙ্গত, মাইক্রো-ব্লু-টুথ হল একেবারে ছোট্ট ডিভাইস। কানে লাগিয়ে রাখলে ওয়্যারলেস কথা বলা বা গান শোনা যায়। হেডফোন গোঁজার দরকার পড়ে না৷ ওয়্যারলেস ডিভাইসের এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই নিজের বুদ্ধি খেলিয়েছিল ওই ছাত্র। ভাল ইএনটি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়ে কানের চামড়ার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছিল সেই ব্লু-টুথ ডিভাইস। তার আগে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লু-টুথ ডিভাইস কিনে নিয়েছিল। চামড়ার নীচে থাকলেও যেহেতু ডিভাইসটি স্কিন কালারের, তাই বাইরে থেকে বোঝার উপায় ছিল না। মোবাইলটা রেখেছিল প্যান্টের পকেটে। এইভাবে দিব্যি টুকলি চালিয়ে যাচ্ছিল।
মধ্যপ্রদেশের মহাত্মা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের এই ঘটনা হতবাক করেছে শিক্ষকমহলকও। কলেজের ডিন ডা. সঞ্জয় দীক্ষিত বলেন, জেনারেল মেডিসিনের পরীক্ষা ছিল সোমবার। ৭৮ জন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। যে ছাত্রটি টুকতে গিয়ে ধরা পড়েছে সে গত ১১ বছর ধরে ডাক্তারির পরীক্ষায় ফেল করে যাচ্ছে। এ বছর ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করলে তাকে আর কলেজে রাখা যেত না। তাই ছাত্রটি মাইক্রো ব্লু-টুথ ডিভাইস কিনে একেবারে সার্জারি করে কানে ঢুকিয়ে নিয়েছিল। প্রথমে বোঝা যায়নি। পরে শিক্ষকরাই দেখেন প্যান্টের পকেটে তাঁর মোবাইলটি ব্লিঙ্ক করছে। তখনই সন্দেহ হয়। দেখেন ব্লু-টুথ অন করা আছে। কিন্তু ডিভাইসটির নাগাল পাওয়া যায়নি। শেষে শিক্ষকদের বকুনির জেরে ছাত্রটিই স্বীকার করে সব। ফের অস্ত্রোপচার করে ডিভাইসটা তার কান থেকে বের করা হয়েছে। এ বছরের পরীক্ষাতেও তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
