আগামী ২৭টি ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিশনকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিয়েছে আদালত৷
তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট করালে সেই সিদ্ধান্তের পিছনে কী ব্যাখ্যা, তাও আদালতকে জানাতে হবে কমিশনকে৷ এ দিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি সহ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷ পাশাপাশি যে জেলাগুলিতে ভোট হবে, সেখানকার এসপি, এসডিপিও সহ পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে কমিশনকে৷
আলোচনার পরে যদি কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী না ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়, তার কারণও লিখিত আকারে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি, নিরপেক্ষ আইএএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ এ ছাড়াও কাঁথি পুরসভার সব ইভিএম পেপার সিল করার নির্দেশও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷
যদিও হাইকোর্টের এই রায়ে অখুশি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সম্ভবত আজই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে তারা৷ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট৷ তার আগে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানিয়েও সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বিজেপি৷