এর আগেও সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ফের তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক রাঘবেন্দ্র সিং বলছেন, যে ভোটাররা তাঁকে ভোট না দিয়ে অন্য কাউকে ভোট দেবেন, তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। কেন তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা হবে?
রাঘবেন্দ্র বলেন, ‘যে হিন্দুরা অন্য কাউকে ভোট দেবেন, বুঝতে হবে তাঁদের শরীরে মুসলিম রক্ত বইছে। তিনি একজন বিশ্বাসঘাতক এবং জয়চাঁদের অবৈধ সন্তান’। উল্লেখ্য দ্বাদশ শতাব্দীতে জয়চাঁদ নামের একজন রাজা ছিলেন, স্থানীয় অঞ্চলে যার নামের সমার্থক বিশ্বাসঘাতক শব্দটি।
বিতর্কিত মন্তব্য করা অভ্যেস করে ফেলেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। এর আগে বলেছিলেন, তিনি যদি ডোমরিয়াগঞ্জ থেকে আরও একবার নির্বাচিত হন তবে মুসলিমদেরও ‘তিলক’ পরতে বাধ্য করবেন। সম্প্রতি নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে বের হন রাঘবেন্দ্র। একটি জনসভায় অংশ নেন। ওই জনসভাতেই তাঁকে বলতে দেখা যায়, ‘হাজারও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হওয়ার পরেও যদি হিন্দুরা অন্যদিকে যায় তবে তাঁদের মুখ দেখানো উচিত নয়। কতজন জয়চাঁদ রয়েছে আপনাদের মধ্যে’? খানিক নীরবতার পর নিজেই উত্তর দেন রাঘবেন্দ্র। বলেন, ‘আমাকে তাঁদের নাম দিন। আমি সকলের ডিএনএ পরীক্ষা করাব। দেখব তাদের মধ্য কতজন হিন্দু আর কতজন মুসলমান’।
তিলক মন্তব্যের জন্য গত সপ্তাহে রাঘবেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেবার রাঘবেন্দ্র বলেছিলেন, ‘গোল টুপি পরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমি বিধায়ক হওয়ার পর। আরও একবার যদি বিধায়ক হই তবে মুসলিমরাও তিলক পরতে বাধ্য হবেন’। রাঘবেন্দ্র আরও বলেন, ‘আমি সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি হিন্দুদের গর্বিত করার জন্য। আমাকে হারাতে সবরকমভাবে চেষ্টা করছে মুসলিমরা। যদিও আমি চুপ থাকব না’।