সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে কমেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। সংক্রমণ হ্রাসের কারণে স্বস্তি পেয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু বিপদ তবু পুরোপুরি কাটেনি। কোভিড টাস্ক ফোর্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট এলেই পরবর্তী কোভিড ঢেউ আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যেই দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ন্যাশনাল আইএমএ কোভিড টাস্ক ফোর্সের সহ চেয়ারম্যান ডাঃ রাজীব জয়দেবন আরও জানান, ওমিক্রন বিএ.২ আগের বিএ.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রমণযোগ্য।
এপ্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জয়দেবন বলেন, “ভাইরাস আমাদের ঘিরেই থাকতে চলেছে। বেশ দীর্ঘ সময়ের জন্যই উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট এলেই আরেকটি ঢেউ আসবে। আমরা জানি না এটা কখন হবে, তবে অনিবার্যভাবেই ছয় থেকে আট মাসে একবার ঘটতে পারে এটি।” তিনি আরও জানান, “তবে এখনও পর্যন্ত, আমরা ওমিক্রনের নিম্ন পর্যায়ে আছি। আমাদের মনে রাখা উচিত, ভাইরাস এখনও রয়েছে। ফলে আমাদের সংক্রমণ আটকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। ওমিক্রন বিএ.২ আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে পারে কী না সেই আশঙ্কার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, যাদের আগে বিএ.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট ছিল বিএ.২ তাদের সংক্রামিত করতে পারবে না। এটি একটি নতুন ভাইরাস বা স্ট্রেন নয়। বিএ.২ হল ওমিক্রনের একটি উপবংশ।”
পাশাপাশি ওমিক্রনের মতোই ভবিষ্যতের ভ্যারিয়েন্টগুলিও ভ্যাকসিনের অনাক্রম্যতাকে এড়িয়ে যেতে পারে, জানান ডাঃ জয়দেবন। “গত দুই বছর ধরে ভাইরাসটি নিজের ফিটনেস বাড়িয়ে বাড়িয়ে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে, যাতে এটি আরও বেশি লোককে সংক্রামিত করার এবং প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা এবং ভ্যাকসিনযুক্ত অনাক্রম্যতাকে অতিক্রম করার ক্ষমতা পেয়েছে”,বলেন ডাঃ জয়দেবন। তিনি এও জানান, “ওমিক্রন দেখিয়েছে ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতাও সহজে এই ভ্যারিয়েন্টগুলি অতিক্রম করে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে যখন আরও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে এই প্রবণতা দেখা যাবেই। বিএ.১ ও বিএ.২ উভয়েরই ইমিউন এস্কেপ ক্ষমতা রয়েছে, অর্থাৎ যদি এমনিই সংক্রমিত হয়ে থাকেন বা যদি টিকা দিয়ে থাকেন সব ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস এখনও আমাদের সংক্রামিত করতে পারে।”