বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে ফের চড়ল রাজনীতির পারদ। এবার ডেউচার দেওয়ানগঞ্জে তৃণমূলের এক আদিবাসী নেতা-সহ কয়েক জনকে আটকে রাখা, মারধর করা, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বাম নেতা প্রসেনজিৎ বসু, স্থানীয় দুই আদিবাসী-সহ ৯ জনকে।
রবিবার দেওয়ানগঞ্জে খনি বিরোধী একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল ‘বীরভূম জমি জীবন ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা’। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ বসু, মলয় তিওয়ারি, কুণাল দেব-সহ গণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, সভার শেষে শাসকদলের আদিবাসী নেতা সুনীল সরেন, মহম্মদবাজার ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, নেতা বাবুলাল টুডুরা দেওয়ানগঞ্জে গেলে তাঁদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন খনির বিপক্ষে থাকা লোকজন।
তখনই সুনীল, বাবুলাল, কালীপ্রসাদ-সহ বেশ কয়েক জনকে সভাস্থলে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাবুলালের মাথা ফাটে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে রাত ১০টার পরে তাঁদের উদ্ধার করে। আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এর পরেই সুনীল মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এর পরেই প্রসেনজিৎদের গ্রেফতার করা হয়।
বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, এলাকায় অশান্তি পাকানো, কয়েক জনকে মারধর করে আটকে রাখা, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগে মামলা রুজু করে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের সিউড়ির এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রসেনজিৎ-সহ সাত জনকে তিন দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি দুই স্থানীয় বাসিন্দাকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।