ডেউচা পাঁচামি নিয়ে মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। সরকার জোর করে জমি নেবে না। জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েই সরকার জমি নেবে। এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে আগামী ১০০ বছর রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। এর সঙ্গে এই প্রকল্পে কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘খাদান মালিকরা জমি দিতে বারণ করছেন। কিন্তু তা ঠিক নয়। সরকার কারও কাছ থেকে জোর করে জমি নিচ্ছে না। আমাদের নিজস্ব জমি আছে। সেই জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আরও যে জমির প্রয়োজন তা যদি সরকারের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেউ দেন তবে সেই জমি নেওয়া হবে। না দিলে সেই জমি বাদ দিয়েই প্রকল্পের কাজ হবে।’
এই প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিস্তারিত বলতে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন। মুখ্যসচিব বলেন, ‘জমির দামের চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাড়ি তৈরির জন্য পাঁচশোর বদলে সাতশো বর্গফুট জমি দেওয়া হবে। যাঁরা বাড়ি নেবেন না তাঁদের বাড়ি তৈরির অর্থ বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সাত লক্ষ টাকা করা হবে। এ ছাড়া এককালীন দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। খাদান মালিকদের জন্যও ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ দেওয়া হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচ হাজার একশো পদ তৈরি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মহিলাদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সামাজিক প্রকল্প নেওয়া হবে।’ কেন ডেউচা পাঁচামি করার প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এই প্রকল্পের ফলে আগামী একশো বছর রাজ্যকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে না, মিটবে বিদ্যুতের সঙ্কটও’।