প্রথম থেকেই পাঞ্জাব, আসাম এবং বাংলায় বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃৃদ্ধি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। প্রশ্ন উঠেছে, একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার এক্তিয়ার কি এভাবে বাড়ানো যায়? এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি, জিএসটি, নিট ও কৃষি আইন নিয়ে বিতর্কেও বার বার উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা।
সংবিধানের ২৪৫ থেকে ২৬৩ ধারায় খুব স্পষ্টভাবে লেখা আছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের হাতে কী ক্ষমতা থাকবে। এছাড়া সংবিধানের সপ্তম তফসিলে তিনটি তালিকা করে বলা আছে কোন বিষয় কেন্দ্রের এক্তিয়ারে, কোন বিষয় রাজ্যের এক্তিয়ারে এবং কোনগুলি যৌথ এক্তিয়ারের আওতায় পড়ে। সংসদ এবং বিধানসভার আইন প্রণয়নের ক্ষমতাও নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। এর পরেও বারে বারে বিতর্ক হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা বিভাজন নিয়ে।
কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করে, পাঞ্জাব, আসাম ও বাংলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারবে বিএসএফ। একইসঙ্গে তারা মালপত্র বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতারও করতে পারবে। বিরোধী শাসিত পাঞ্জাব ও বাংলা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তাদের বক্তব্য ছিল, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির এক বড় অংশে ঘুরপথে কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
লোক আদালতের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক পি ডি টি আচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের আওতা বাড়াতেই পারে। কেন্দ্র যদি মনে করে, ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে, তাহলে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো বেআইনি নয়।’ তবে তিনি এ-ও বলেন, বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানোর আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তাঁর ইঙ্গিত, এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে প্রভাব পড়তে পারে।