একুশের বিধানসভা ভোট থেকেই শুরু হয়েছে বিজেপির ভরাডুবি। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের মন থেকে ফিকে হয়ে আসছে পদ্মের অস্তিত্ব। সাম্প্রতিকতম পুরনির্বাচনের শোচনীয় ফল তার তরতাজা প্রমাণ। তবে ভোট প্রাপ্তির নিরিখে শুধু নয়, সার্বিকভাবে বাংলার রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই ম্রিয়মান হচ্ছে গেরুয়ার উপস্থিতি। এমনকী দলের পতাকা পর্যন্ত কিনতে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না এখন। পাইকারি দরে বিজেপির পতাকা কেনার পর তা খুচরো বিক্রি করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে বিক্রেতাদের। বনগাঁর এক পতাকা ব্যবসায়ী জানান, বিজেপির পতাকা স্টক করে এখন বেকায়দায় পরেছেন। কেউ কিনতে আসছেন না। অন্যদিকে বাদবাকি রাজনৈতিক দলগুলির পতাকার বাজার বেশ চাঙ্গা। পতাকা বিক্রিতে সব দলকে পিছনে ফেলে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, সোমবার বনগাঁ বাটার মোড়ে একটি দোকানে গিয়ে দেখা গেল সেই চিত্রই। দোকানে থরে থরে সাজানো তৃণমূলের ফ্ল্যাগ। রয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেসের পতাকাও। দোকানের এক কর্মী বলেন, যাঁরা আসছেন তাঁদের প্রায় সকলেই তৃণমূলের পতাকা চাইছেন। বিক্রি হচ্ছে বাম-কংগ্রেসের পতাকাও। কিন্তু বিজেপির ফ্ল্যাগের চাহিদা খুবই কম। কেউ কিনতে আসছেন না। বনগাঁ কোর্ট রোডের একটি দোকানের কর্মী জানান, এবছর অন্যান্য দলের চেয়ে তৃণমূলের পতাকার চাহিদা অনেক বেশি। বিজেপির একেবারেই বিক্রি নেই। তাদের থেকে অনেক এগিয়ে বাম-কংগ্রেস। পতাকার পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে দলগুলির প্রতীকেরও। প্লাস্টিকের বা ধাতুর দলীয় প্রতীক বিক্রি হচ্ছে দেদার। ভোট আসায় ব্যবসা বেশ ভাল হচ্ছে বলে খুশির আমেজ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভায় এবার চতুর্মুখী লড়াই। পুরসভার ২১ ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা মাঝপথে ভেস্তে যাওয়ায় এককভাবে ভোটে লড়ছে বাম। অন্যদিকে ২২ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। পুরভোটে লড়াই দেবে বলে আশাবাদী জাতীয় কংগ্রেস। কয়েকটি আসনে তাদের অবশ্য প্রার্থী নেই। কিন্তু প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মেয়ে ও ভাই এই ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী। এই ঘটনা কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। কয়েকটি আসনে তারা জয় পাবে বলে মনে করছে। অপরদিকে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। সবকটি আসনেই জয়ী হবেন প্রার্থীরা, আশাবাদী তাঁরা।