এবার জাতীয় রাজনীতিতে বড় ভূমিকা নেব। দিল্লীতে বিজেপির একাধিপত্য আমরা নষ্ট করে দেব। কিছুদিন আগে ঠিক এই ভাষাতেই গেরুয়া শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। আর তার পর পরই এবার মুম্বইতে অবতীর্ণ হলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। সেখানে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাওয়ের ঘোষিত লক্ষ্য একই। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির জোট। অঘোষিত লক্ষ্যও এক। কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই আঞ্চলিক দলগুলির বিরোধী জোট তৈরির চেষ্টা। মহারাষ্ট্রের সফরের আগেই মমতার সঙ্গে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কথা হয়েছিল। বিরোধী শাসিত রাজ্যে মোদী সরকার নিযুক্ত রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার পাশাপাশি, আগামী জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের তরফে কাউকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার বিষয়েও কথাবার্তা হয়। রাজনৈতিক শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, পাওয়ারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী হতে পারেন।
মুম্বইতে পাওয়ারের সিলভার ওক বাংলোয় গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পরে কেসিআর জানিয়েছেন, পাওয়ার তাঁকে ‘আশীর্বাদ’ করেছেন। বৈঠকে পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও হাজির ছিলেন। রাও বলেন, ‘পাওয়ারের অভিজ্ঞতা অমূল্য। এই ধরনের বৈঠক চলতে থাকবে।’ বিরোধী দলের নেতারা খুব শীঘ্রই একসঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। উদ্ধবের সঙ্গে রাওয়ের বৈঠকের পরে দু’জনে মিলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। উদ্ধব জানান, তিনি ও রাও আগামী দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করবেন। বিজেপিকে সরিয়ে দেশকে সঠিক পথে নিয়ে আসাই হবে তাঁদের লক্ষ্য। উদ্ধবের মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা পরে আলোচনা করা যাবে।