শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ড। রাতের শহরে পুড়ে ছাই হল জোড়াবাগান বসতির একাধিক ঝুপড়ি। অন্যদিকে ভোররাতে আগুন লাগে গড়িয়াহাটের একটি দোকানে। তবে দুই ক্ষেত্রেই প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। শুক্রবার রাতে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার মণ্ডল স্ট্রিটের পাঁপড় গলির ঝুপড়িতে আগুন লাগে।
ঘটনার পরই অকুস্থলে আসে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীদের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন এক বাসিন্দা। বাসিন্দাদের দাবি, আগুনের গ্রাসে ছাই হয়েছে প্রায় ২৫টি ঘর।
মণ্ডল স্ট্রিটের পাঁপড় গলিতে একটি মন্দিরের পাশে রয়েছে এই বসতি। এখানে একতলা ও দোতলা মিলিয়ে রয়েছে ২৫টি ঘর। স্থানীয়রা জানিয়েছে, হঠাৎই এদিন রাতে দোতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে একটি ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফে্ারণ ঘটে। ফলে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দোকানের কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিন তাঁরা তিনজন দোকানের ভিতর ঘুমতে যান। কিন্তু শুক্রবার রাতে তাঁরা তা করেননি। ফলে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। দোকানের মালিকের দাবি. ক্যাশবাক্সে ২ লক্ষ টাকা নগদ ছিল। আগুনে তা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভরত মাথুর নামে এলাকার এক বাসিন্দা আগুন নেভাতে গিয়ে বিদ্যুতের একটি তারে হাত দিয়ে ফেলেন। সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসিন্দাদের মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রী ছিলেন।
তাঁদের বইখাতা পুড়ে যায়। বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, অনেকের সঞ্চয়ের টাকাও পুড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, পুড়ে গিয়েছে ব্যাংকের সমস্ত নথিপত্র। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে তাঁদের জন্য একটি আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে শনিবার ভোররাতে গড়িয়াহাটের ১৯ নম্বর ডোভার টেরেস এলাকার একটি বন্ধ দোকানে আগুন লাগে। বন্ধ শাটারের ভিতর থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দোকানের ভিতরের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে প্রকৃত কারণ এখনও অজানা।