নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ থাকায় ৭ মার্চ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা শেষ দফার ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাঁচ রাজ্যের ভোট নিতে বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশ করতে পারবে না সংবাদমাধ্যম।
তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই গোয়াতে মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি এবং কংগ্রেস ধরে নিয়েছে এবারও পাঁচ বছর আগের অর্থাৎ ২০১৭- র ফলের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। সেই মতো দুই দলই নেমে পড়েছে অন্য দলের এবং সম্ভাব্য নির্দল বিজয়ীদের মন গলানোর কাজে।
গোয়া বিজেপিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে অন্য দলের সমর্থনের শর্ত হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী বদল করবে তারা। ফলে বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হলে প্রমোদের মুখ্যমন্ত্রী থাকা অনিশ্চিত। একাধিক নির্দল এবং বিজেপি ও কংগ্রেস তো বলেই আঞ্চলিক দলগুলির প্রার্থীরা অনেকেই বলেছেন, প্রতিপক্ষ শিবির থেকে তাদের সঙ্গে ফোনে অথবা দূত পাঠিয়ে সমর্থন চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেক নেতাই দিল্লী ছুটেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মন পেতে।
গোয়ার রাজনীতির জনপ্রিয় মুখ মহারাষ্ট্রবাদী গমন্তক পার্টির রামকৃষ্ণ দাভালিকর। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি ও কংগ্রেসের তরফে সমর্থন চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত স্তরে কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েও সমর্থন চেয়েছেন। কিন্তু তিনি সাফ বলে দিয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগ আছে এমন কাউকে তাঁর দল সমর্থন দেবে না।
এবার গোয়ার ভবিষ্যত নিয়ে তাঁরা যে যথেষ্ট চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র অমিত শাহ’র শেষ পর্বের প্রচারে তা স্পষ্ট ছিল। দু জনেই গোয়াবাসীর কাছে কাতর আবেদন করেন, এবার ২১টা আসন বিজেপিকে দিন। ৪০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২১টি আসন পেতে হবে।
আগেরবার গোয়া বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। অর্থাৎ কোনও দলই সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ২১টি আসন পায়নি সেবার। বিজেপি শেষ পর্যন্ত সরকার গড়লেও সবচেয়ে বেশি আসন যদিও পেয়েছিল কংগ্রেস। তারা ১৭টি আসন যেতে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ১৩টি আসন।
দুই আঞ্চলিক দল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ও কয়েকজন নির্দলের সমর্থন নিয়ে বিজেপির অন্যতম মুখ মনোহর পরিক্কর সরকার গড়েন।
দু’বছরের মাথায় ক্যান্সারে তাঁর অকাল মৃত্যুর পর বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হন প্রমোদ শাওন্ত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে এবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন।
কংগ্রেস দিগম্বর কামাথের নেতৃত্বে লড়াই করলেও সরাসরি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করেনি। কংগ্রেসের সরকার গড়ার সুযোগ এলে দিগম্বরকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন মাইকেল লোবো। তিনি ভোটের কয়েকমাস আগে তৃণমূলে গিয়েও পুরনো দলে ফিরে আসেন।