ক’দিন আগেই পদ্মশিবির ত্যাগ করে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। জল্পনা চলছে, খুব তাড়াতাড়ি তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন৷ কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীসভা থেকে কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন পদ্মত্যাগী নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নাম না করে তিনি বলেন, “এখানে এক টুইটারবাবু আছে৷ আমার মনে হয়, পুরসভা নির্বাচনের পর সেই টুইটারবাবুকে ঘুঁটের মালা পরিয়ে জুতো মারতে মারতে প্লেনে তুলে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া উচিত৷ এরা বাঙালিকে বোঝে না৷ বাঙালির প্রতি কোনও সমবেদনা নেই৷”
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে বিজেপি ছাড়েন জয়৷ সাত বছর পর কেন গেরুয়াশিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তা জানাতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা৷ উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্র ভবনে আইএনটিটিইউসি-র কর্মীসভা থেকে জয় বলেন, “২০১৪ সালে তৃণমূলের রমরমা অবস্থার মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিই৷ দলের হয়ে দার্জিলিং থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত সভা করেছি৷ কিন্তু যে দলের জন্য এত করলাম, নিজের বিপদে তাদের কাউকেই পাশে পাইনি৷ মৃত্যুর সঙ্গে আইসিইউতে পাঞ্জা লড়ছিলাম৷ চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন৷ তখন দলের কেউ পাশে দাঁড়ায়নি৷ আর কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাগনানে মহিলা বেষ্টিত হয়ে এক তোলাবাজের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঢাকঢোল পেটাচ্ছিলেন৷”
পাশাপাশি, বিজেপিতে কেন তিনি এতদিন পড়ে ছিলেন সেটা ভেবে আফসো করেন জয়ের৷ সেই দল ছেড়ে বেরিয়ে আসায় এখন তিনি শ্বাস নিতে পারছেন বলে জানান৷ মানুষ যে দলের সঙ্গে আছেন সেই দল করতে চান জয়৷ তাঁর ঘোষণা, তৃণমূল থেকে ডাক পেলে তিনি বাকি জীবনটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন৷ হলদিয়া যাওয়ার পথে আইএনটিটিইউসির সভায় যোগ দেন জয়৷ বলেন, “এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম৷ এখানকার তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক৷ তাই একটু হাই-হ্যালো ও মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে গেলাম৷”