সরকারি কর্মচারীদের বড়সড় ধাক্কা দিচ্ছে মোদী সরকার। করোনা আবহে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের তরফে রিলিফ স্কিম চালু করেছিল কেন্দ্র। মার্চ মাস থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের গভর্নিং বডির বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই কোভিড ত্রাণ প্রকল্পের সময়সীমা আর বাড়াতে চাইছে না সরকার’। তবে বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, ইসিআইসি হাসপাতালগুলিতে আগের মতোই সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
২০২০ সালে দেশে ভয়াবহ রূপ নেয় করোনা। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। সেই বছর ২৪ মার্চ ইসিআইসি-র আওতায় নিবন্ধিত কর্মীদের জন্য একটি প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের আওতায় কোভিডে সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ১৮০০ টাকা করে পান মৃত কর্মীর পরিবার। যে সব সরকারি কর্মচারি ৩ মাস আগে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পান। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হলে দৈনিক গড় বেতনের ৭০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়। এক বছরে সর্বাধিক ৯১ দিনের জন্য এই সুবিধা পাওয়া যায়।
এছাড়া ইসিআইসি-র নিয়ম অনুযায়ী, মৃত কর্মীর পত্নী, বৈধ বা দত্তক সন্তান (বয়স ২৫ বছরের কম), অবিবাহিত বা দত্তক কন্যা এবং বিধবা মাকে দৈনিক গড় বেতনের ৯০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়। এই ৯০ শতাংশকে পূর্ণ হার বলা হয়। যদি একাধিক নির্ভরশীল থাকেন তাহলে ক্ষতিপূরণের এই টাকা ভাগ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি দুই বছরের জন্য চালু করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এই প্রকল্পটিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন কর্মচারীরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিস্থিতির উন্নতি হলেও করোনা এখনও নির্মূল হয়নি। দেশে এখনও প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এই প্রকল্প চালু রাখা হোক। কিন্তু এই যুক্তি মানতে রাজি নয় কেন্দ্র। বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাই এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে।