গত সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচনের ফলাফল। বিধানসভা নির্বাচন, উপনির্বাচনের পর পুরভোটের মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। ক্রমশই দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিচ্ছে পদ্মশিবিরের অন্দরে। অবশেষে নিজেদের ব্যর্থতা ও গাফিলতির দায় স্বীকার করে নিলেন বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “যে শক্তি নিয়ে আমাদের লড়াই করার কথা ছিল, তা আমরা লড়তে পারিনি।” এদিন দিলীপ আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাকি ১০৮ পুরসভার ভোটেও বিজেপির ফল বিশেষ ভাল হবে না। ভরাডুবির কারণ হিসেবে রাজ্য বিজেপির ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং আভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দায়ী করেছেন তিপি।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলপ্রকাশের দু’দিন পর বুধবার দিল্লীতে দিলীপবাবু বলেন, “বিজেপিতে কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ। আবার দলের কমিটিতেও অনেকে জায়গা পাননি। তা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। আমরা প্রত্যেকের সঙ্গেই কথা বলছি। সকলেই যাতে ফের দলের কাজে যুক্ত হন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপবাবুর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, দলের বঙ্গ ব্রিগেডের ভেতরের চাপানউতোর সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এর প্রভাব পড়ছে নির্বাচনগুলিতেও।
