সুরের জগতের আঁধার কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার দুপুরের অস্তমিত ময়দানের সূর্য। প্রয়াত ময়দানের শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ৭০ বছর বয়সেই থামল লড়াই। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৫৪ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত বর্ষীয়ান ফুটবলার। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সুভাষ ভৌমিককে হারানোর শোক মিটতে না মিটতেই ফের স্বজন হারানোর ধাক্কা ময়দানে। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুর এক মাস কাটতে না কাটতেই বন্ধুর পথে পাড়ি দিলেন সতীর্থ সুরজিৎ সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ফুটবল ময়দান। সাতের দশকের ময়দানের অন্যতম সেরা ফুটবলারের প্রয়াণে শোকার্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘ময়দানের স্টার ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তকে আমরা হারালাম। তাঁর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাঁকে সুভদ্র মানুষ হিসেবে জানতাম। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সুরজিৎ সেনগুপ্তের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ।
মমতা সরকার ২০১৩ সালে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করে। দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার সুরজিৎ সেনগুপ্ত বাংলার দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে খেলেছেন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল অতুলনীয়। ‘