ঠিক একমাস আগে তিনদিনের এক সদ্যোজাতকে প্রাণে বাঁচাতে ময়দানে নেমেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে গত ৩০ দিন যাবৎ চিকিৎসাধীন ছিল এই একরত্তি। এমন ঘটনা যেন সকলকে এক করে দিল এক লহমায়।
নদিয়ার মহাদেবপুরের বাসিন্দা পূজা দেবনাথ এই শিশুটির জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন শিশুটির হৃদযন্ত্রে জটিল সমস্যা রয়েছে। বাঁচাতে হলে দ্রুত চারটি স্টেন্ট বসাতে হবে। খরচের বহর শুনে কার্যত ভেঙে পড়েন শিশুটির বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা।
এরপর দিক-বেদিক শূন্য হয়ে এক পরিচিতের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেন টলিউডের অত্যন্ত পরিচিত এডিটর বামপন্থী বলেই পরিচিত অনির্বাণ মাইতির সঙ্গে। তিনিও শিশুটিকে বাঁচাতে তৎপর হন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করেও সুরাহা না হওয়ায়, নিজের ফেসবুক ওয়ালে গোটা ঘটনাটি জানিয়ে সাহায্যের আর্তি চেয়ে একটি পোস্ট করেন। সঙ্গে শিশুটির একটি ছবিও দেন।
সেখানেই গত একমাস ধরে ওই একরত্তির চিকিৎসা চলে। হয় ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল অস্ত্রোপচার। দেবাংশুর কথায় শিশুটির চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থাই করছে টিম অভিষেক। অবশেষে সকলের আশীর্বাদে প্রায় একমাস পর মায়ের কোলে শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় তুলে দেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ঘরে ফেরে একরত্তি।
অনির্বাণ মাইতি সেই সময় জানিয়েছিলেন, গোটা ঘটনা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য। এরপর শিশুটির পরিবারের সদস্যদের তথ্য নেন দেবাংশু। শিশুটিকে কীভাবে সুস্থ করে তোলা যায় তার জন্য চেষ্টা করার জন্যই এই চেষ্টা বলেও অর্নিবাণবাবুকে আশ্বাস দেন তৃণমূল যুবনেতা।
দেবাংশু জানান, শিশুটির বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর তিনি গভীর রাতে যোগাযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ১০ মিনিটের মধ্যে শিশুটির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল তিনি নিজেই। তাঁর টিমের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যেই শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে কলকাতার মুকুন্দপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।