অস্তমিত হয়েছে ‘সন্ধ্যা’প্রদীপ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জীবনাবসান হয় ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর অগণিত অনরাগীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ‘গীতশ্রী’র মরদেহ বুধবার শায়িত রাখা হয় রবীন্দ্র সদনে। বেলা ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সুযোগ পান অসংখ্য ভক্তরা।
রবীন্দ্র সদনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাপ্পি লাহিড়ীকেও রাজ্য সরকারের তরফে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। একতারা মুক্তমঞ্চে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাপ্পি লাহিড়ীর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান সকলে। শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচি কাটছাঁট করে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরেই তিনি সোজা পৌঁছে যান রবীন্দ্র সদনে। সেখানে ‘গীতশ্রী’কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মমতা। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ‘গীতশ্রী’ সম্মানে গান স্যালুট দেওয়া হবে।
প্রয়াত গীতশ্রীর দেহে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকাল থেকেই প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছন বাংলা সংগীতজগতের বিশিষ্টরা। পৌঁছন তাঁর কন্যা সৌমী মুখোপাধ্যায়। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সৌমীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা। রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন রবীন্দ্র সদন চত্বরে। শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।