জেলার মানুষের দাবি মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকদিন ধরেই এই দাবি তাঁরা করছিলেন। এবার সেই দাবি পূরণ হল। হুল দিবসে ছুটির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত আদিবাসী মানুষজন। খুশি হয়েছেন সরকারি কর্মীরাও। কারণ হুল দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি কর্মীরা ছুটি পাবেন। এমনকী হুল দিবস ছাড়া করম পুজো এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মানুষদের জন্মবার্ষিকীতে ছুটি মিলবে।
ঠিক কী জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের শেষে তিনি জানান, আদিবাসী সমাজ এগিয়ে চলুক। জমি হস্তান্তর করা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট, ‘করম পুজো, হুল দিবস এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতাদের জন্মবার্ষিকীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে আজ কোচবিহারে বীর চিলা রায়কে সম্মান জানাতে মূর্তি তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ১৫ ফুট উঁচু মূর্তিটি কোচবিহারের বাবুরহাট চেকপোস্টে বসানো হবে বলে তিনি জানান। মূর্তিটি বসানোর জন্য ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। কোচবিহারে বীর চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর বার্ষিক আদিবাসী মেলার নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি। এই মেলার নাম দিয়েছেন ‘জয় জোহর মেলা।’ তিনি টুইটে লেখেন, ‘৭০৩টি জহর থান এবং ১৫০৩ মাঝির থানের সংস্কার, সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। আদিবাসী সমাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পেনশন, জীবিকা, পানীয় জল, সংস্কৃতি, ভাষা, ভূমি অধিকার সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।’