গতকাল, সোমবার ছিল রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোট গণনা। ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের তিন পুরনিগমেও বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল৷ আর এই জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছেন রাজ্যের চার মন্ত্রী। পুরভোটে জয় ছিনিয়ে এনে খুশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বোস, ইন্দ্রনীল সেন ও মলয় ঘটক।
রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া নির্বাচন ছিল বিধাননগর পুরনিগমের। বিরোধী রাজনৈতিক দল বিধাননগরের ভোট নিয়ে নানা ভাবে রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিধাননগরের জয় নিয়ে প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিল তৃণমূল। আর এই পুরনিগমের ভোট নিয়ে বিশেষ নজরে ছিল দুই মন্ত্রী সুজিত বোস ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পারফরম্যান্স। সুজিত বোস বিধাননগরের বিধায়ক। বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিধাননগরের বাসিন্দা।
বিধাননগরের ভোটের সাথে যুক্ত ছিল আরও দুই বিধায়ক তাপস রায় ও অদিতি মুন্সির নাম। ছিল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নজরও। কারণ এটি তার সংসদীয় এলাকার মধ্যে। তাপস রায়ের কন্যা ছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রার্থী। অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী ছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রার্থী। গতকাল ফল বেরনোর পরে খুশি সকলেই। তবে দুই মন্ত্রী বেশি খুশি জয় ছিনিয়ে আনতে পেরে৷
সদ্য দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা পাওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম। সবাই একসাথে লড়াই করেছি। প্রচার করেছি। গত কয়েক বছরে আমরা মানুষের জন্য এলাকায় যা কাজ করেছি তার ফল আমরা আজ পেলাম৷ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে খুশি। তাই তার প্রতি আর একবার আস্থা দেখালেন বিধাননগরের মানুষ।’
বিধাননগরের জয় নিয়ে খুশি রাজ্যের দমকল মন্ত্রীও। বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বোস জানিয়েছেন, ‘আমরা সারা বছর মানুষের পাশেই থাকি। বিধানসভা ভোটেও বিধাননগরের মানুষ আস্থা দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি। এবারও তারা সেই আস্থা দেখালেন।’
রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া পুরভোট ছিল হুগলি নদীর তীরে চন্দননগরে। ফরাসডাঙ্গায় জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ইন্দ্রনীল। প্রচারে বেরিয়েই কাউন্সিলর প্যাড ছাপিয়ে রাখতে বলেছিলেন তিনি। গতকাল ইন্দ্রনীল বলেন, ‘মানুষ আমাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা দেখিয়েছে। চন্দননগরের জন্যে আমরা একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করছি। আগামী দিনে আমাদের পুরবোর্ড আবারও সেই কাজ করবে।’
দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম নজরকাড়া পুরনিগম ছিল আসানসোল। বৃহত্তর এই পুরনিগমের ভোটের দেখভাল করেছেন মলয় ঘটক। আসানসোলের জয় পেয়ে খুশি মলয় ঘটক। তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেকরকম ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু পারেনি। আসানসোলের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা তৃণমূলকেই চান। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজের প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’