দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কানে আসছিল বেআইনি কাজে লিপ্ত হয়েছে তাঁর আপ্ত সহায়ক। তাঁর নাম করে দিনের পর দিন আর্থিক প্রতারণা করে চলেছেন। কিন্তু প্রমাণ না থাকায় কিছুই করে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে প্রমাণ পেতেই এবার নিজের আপ্ত সহায়ককে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। তিনি নিজেই এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধেবেলা পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে সজল মুখোপাধ্যায় নামে তাঁর পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছিলেন টলিউড অভিনেতা সোহম। তারপর নিজের আপ্ত সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সজল মুখোপাধ্যায়কে। মাস কয়েক ধরেই তিনি বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়কের কাজ করছিলেন। অভিযোগ ওঠে, প্রায়শই অভিনেতা-বিধায়কের নাম করে তিনি নানা জনের কাছ থেকে অর্থ চাইতেন। কোনও কাজ দ্রুত করিয়ে দেওয়া হবে কিংবা কাউকে কোনও পদ পাইয়ে দেবেন– এমন নানা আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের প্রতারণা করতেন।
এ ধরনের অভিযোগের কথা কানে পৌঁছয় সোহমেরও। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র চণ্ডীপুরের কাজ সামলে তিনি বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকতেন। সেখানকার বাকি কাজকর্ম দেখভালের ভার ছিল সজলের ওপর। অভিযোগ, সোহমের অনুপস্থিতির সুযোগেই সজল এসব কুকীর্তি করে বেড়াতেন। সোহম সমস্ত অভিযোগের কথা শুনেছিলেন কিন্তু প্রমাণ পাননি বলে এতদিন পুলিশের দ্বারস্থ হননি। তবে সজলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার প্রমাণ পেতেই চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অবশেষে সোমবার সন্ধেবেলা পুলিশ এলাকা থেকে সজলকে গ্রেফতার করে। এক ভিডিও বার্তায় এই গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন সোহম।
