তুঙ্গে প্রস্তুতি। আজ, অর্থাৎ সোমবারই ‘গো ব্যাক মোদী’ স্লোগান তুলে পাঞ্জাবে মহামিছিলে নামলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। একইসঙ্গে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যেকটি নির্বাচনী সমাবেশের দিনই রাজ্য জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচী পালন করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ওই রাজ্যে একাধিক নির্বাচনী সমাবেশ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জলন্ধর, পাঠানকোট, আবোহারের মতো জায়গায় মোদীর সমাবেশ হওয়ার কথা। নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে আজ, সোমবারও। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের এমন হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই তুমুল চাপে পড়ে গিয়েছে পদ্মশিবির। এমনকী তাদের আলোচনায় উঠে আসছে গত ৫ই জানুয়ারির ফিরোজপুরের ঘটনাও। ফের যদি একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে ভোটের মুখে তাদেরই মুখ পুড়বে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
উল্লেখ্য, ফিরোজপুরের ঘটনা নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে দলীয় পতাকা নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির সমর্থকরাই। অকুস্থলের আশেপাশেও ছিলেন না আন্দোলনকারী কৃষকরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, আজ, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় ‘মোদী গো ব্যাক’ স্লোগান তুলে চণ্ডীগড়ের কিষান ভবন থেকে সেক্টর-১৭ পর্যন্ত মশাল মিছিল করবেন কৃষকরা। পাশাপাশি আজ, সোমবার রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করারও পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পাঞ্জাব কমিটি। কিষাণ মোর্চা অভিযোগ করে বলেছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময়ই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি, তাই কৃষকরাও আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন।” রবিবার ফের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে বিজেপিকে হারানোর ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।