রাজ্যজুড়ে সংগঠনের দশা তথৈবচ হলেও চারটি পুরনিগমের মধ্যে শিলিগুড়িতে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল পদ্মশিবির। কিন্তু সে গুড়ে বালি। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোলের মতো শিলিগুড়িতেও মুখ পুড়ল বিজেপির৷ ৪৭টির মধ্যে মাত্র পাঁচটি আসন জিতেই আটকে গেল তারা৷ এমনকী, হারের মুখ দেখতে হল শিলিগুিড়র বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও৷ ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরাজিত হয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ফল অনুযায়ী শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ তৃণমূল এগিয়ে ছিল দশটি ওয়ার্ডে৷ মাত্র একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বামেরা৷ এই পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়েই শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলের স্বপ্ন দেখছিল বিজেপি৷ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও প্রার্থীও করেছিল তারা৷ বিধানসভা নির্বাচনে অশোক ভট্টাচার্যকে হারানো সেই শঙ্কর ঘোষও পরাজিত হয়েছেন৷ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দু’ নম্বরেও থাকতে পারেননি তিনি৷
এই জয়ে উছ্বসিত তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ তিনি বলেছেন, “লোকসভায় উত্তরবঙ্গে সব সিট বিজেপি পেয়েছিল৷ বিধানসভাতেও শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের অনেক সিটে আমরা হেরেছিলাম৷ উত্তরবঙ্গের মানুষকে একতরফা ভাবে ভুল বোঝানো হয়৷ বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়৷ জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ করা হয়৷ মানুষ যত তাড়াতাড়ি এই ভুল বুঝতে পারবে আরও ভাল৷” তিন বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুরনিগম ছিল তৃণমূলের কাছে অধরা৷ ২০০৯ সালে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট শিলিগুড়িতে জয়ী হয়েছিল৷ কিন্তু পরবর্তী সময়ে মেয়র পদ ঘিরে বিবাদে জোট ভেঙে যায়৷ সেই সুযোগে কংগ্রেসের সমর্থনে শিলিগুড়ির পুরবোর্ড দখল করে নেয় বামেরা৷ এরপর ২০১৫ সালেও বামেরা শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করে।