কাশ্মীরে সন্ত্রাসদমনে বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। পুলিশের জালে ৩ আল বদর সন্ত্রাসবাদী। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রও। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতেই জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ১ পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪।
সেসময় ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়ে ছিলেন, কাশ্মীরে সংগঠন তৈরি করতে আল বদরকে আর্থিক সাহায্য করছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ৷ এর জন্য নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে সোপোর জেলার ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেই অভিযানে ভূস্বর্গে সক্রিয় তিন আল বদর জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানায়নি পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোপন নথি উদ্ধার হয়েছে। তাদের জেরা করে আল বদরের গোপন ডেরার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে বাহিনী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে বন্দিপোরা এলাকায় নাশকতা চালায় জেহাদিরা। সেইসময় এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথবাহিনী। আচমকা তাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। বাকি চারজন গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই আল বদর প্রধান বখত জামিন জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কন্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করে।