দুঃসময় অব্যাহত গেরুয়াশিবিরে। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ১২টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি। এর মধ্যে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের এলাকায় পাঁচটি ওয়ার্ড রয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, এই ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে প্রশাসনিক অসহযোগিতার কারণে এবং বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে শাসকদলের সন্ত্রাসের পরিবেশের কারণে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। তবে জানা যাচ্ছে, ওই ওয়ার্ডগুলিতে প্রার্থী জোগাড় করতে না পারার কারণেই ওরা মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেনি। অন্যদিকে, বিজেপি সহ বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় টিটাগড় পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুরেশ প্রসাদ। সেখানে বৃহস্পতিবারই সবুজ আবির উড়িয়ে জয়ের উল্লাসে মেতেছেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বরানগর থেকে খড়দহ পর্যন্ত পুরসভায় মোট সাতটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বাকি বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত টিটাগড় থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ার্ডেও প্রার্থী দিতে পারেনি গেরুয়াশিবির।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলার যুব মোর্চার সম্পাদক জয় সাহা বলেন, “পানিহাটি পুরসভার ৩৫ নম্বর, খড়দহের ৮ ও ২০, উত্তর দমদমের ১৪, বরানগরের ১ ও ৭ এবং কামারহাটির ২৩ নম্বর মিলিয়ে আমরা সাতটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারিনি। এই প্রার্থীরা বুধবার বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়েছিলেন। লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা করা হয়নি। প্রতিবাদে আমরা ওইদিন বিকেলেই মহকুমা শাসকের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করেছি। প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণেই এই সাতজন মনোনয়নপত্র জমা করতে পারলেন না। বাকি সব জায়গায় জমা হয়েছে।” যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, সময়ে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সবারই মনোয়নপত্র জমা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক মণ্ডল মনোনয়নপত্র জমা দিলেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দল খোঁজ নেয়নি। তার উপর তিনি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।