প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কর্ণাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা বুধবার দাবি করেন ‘গেরুয়া পতাকা’ ভবিষ্যতে দেশের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারে। হিজাব বিবাদের মধ্যেই মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কর্ণাটকের মন্ত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি ঈশ্বরাপ্পা বলেন, ‘কয়েকশো বছর আগে রামচন্দ্র ও মারুতির রথে গেরুয়া পতাকা লাগানো থাকত। তখন কি আমাদের দেশের পতাকা তেরঙা ছিল? এখন অবশ্য এটাই (তেরঙা) আমাদের জাতীয় পতাকা। এই দেশের সবাইকে জাতীয় পতাকার সম্মান করতে হবে। এই বিষয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে ‘এখন না হলেও ভবিষ্যতে লাল কেল্লায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হতেই পারে। হিন্দুবিচার এবং হিন্দুত্ব নিয়ে দেশে আজ আলোচনা চলছে। একটা সময় ছিল যখন আমরা বলতাম অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবে, তখন লোকে হাসত। এখন কি আমরা রামমন্দির নির্মাণ করছি না? একইভাবে ভবিষ্যতে কোনও এক সময়… ১০০-২০০ বা ৫০০ বছর পর গেরুয়া পতাকাই আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারে।’
উল্লেখ্য, হিজাব বিতর্কের মধ্যেই কর্ণাটকের এক কলেজে জাতীয় পতাকার জায়গায় ফ্ল্যাগপোলে গেরুয়া পাতাকা লাগানোর অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে বিজেপি সরকারকে তোপ দেগেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ডিকে শিবকুমার। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ঈশ্বরাপ্পা কংগ্রেস নেতাকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ডিকে শিবকুমার একজন মিথ্যাবাদী। সেখানে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেখানে জাতীয় পতাকা নামানো হয়নি… গেরুয়া পতাকা যে কোনও জায়গায় উত্তোলন করা যেতে পারে, তবে জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেটা করা যায় না। এমনটা কোথাওই হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।’