বাংলায় বহু গ্রাহকই জানেন না যে, তাঁদের বিল ২৫ ইউনিটের কম এলে, বিদ্যুৎ দফতর নিজেই সেই টাকা মিটিয়ে দেয়। বিগত ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে রাজ্যে ‘হাসির আলে’ প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সিইএসসি এলাকাই হোক বা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, গ্রাহকদের বিলের অঙ্ক ২৫ ইউনিটের কম হলে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ মিলবে। যেহেতু বণ্টন সংস্থার আওতায় তিন মাস অন্তর বিল আসে, তাই সেখানে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ফ্রি। তবে শর্ত একটাই। মিটারের লোড ০.৩ কিলোওয়াট বা তার নীচে থাকলে এই সুবিধা মিলবে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, যেহেতু বহু গ্রাহকের বিদ্যুতের খরচ স্থির নয়, তাই সব মাসে সবাই এই সুবিধা পান না। ফলে বিনামূল্যে বিদ্যুতের সুযোগ পাওয়া গ্রাহকের সংখ্যাও বদলে যায় প্রতি মাসে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর, গত এক বছরে প্রতি মাসে গড়ে ১১ লক্ষ গ্রাহক বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পেয়েছেন।
এবিষয়ে সিইএসসি সূত্রে খবর, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সেই সংখ্যা দু’লক্ষ। অর্থাৎ গড়ে ১৩ লক্ষ মানুষ বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন প্রতি মাসে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার একটি প্রকল্প চালু করেছিল, যেখানে সস্তায় এলইডি আলো পাওয়ার সুযোগ ছিল গ্রাহকদের। কিন্তু সেই প্রকল্প অনেক আগেই বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। ফলে রাজ্যের মানুষ সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসির আলো প্রকল্পে কেন্দ্রের কোনও অনুদান নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন দপ্তরের কর্তারা। কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্য এই আর্থিক ভার বহন করছে।