উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যোগী আদিত্যগলায় গলায় শোনা গেল বাংলার নিন্দা। যোগীর বচন, “বিরোধীদের ভোট দিলে উত্তরপ্রদেশ নাকি কেরল, বাংলারর মতো হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, আদিত্যনাথের জমানায় করোনায় মৃত হাজার হাজার মানুষের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ দেখেছে, হাথরস-উন্নাও। উন্নয়নের ধ্বজাধারী যোগীর উত্তরপ্রদেশ লখিমপুরের নিদর্শনে দেশকে উপহার দিয়েছে। এহেন উন্নয়ন-সুশাসনের কথা বলা যোগীর মুখে বাংলার নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লখনৌতে পা দেওয়ার পর থেকেই নিজেদের দুর্বলতা আরও ভালো করে বুঝতে পেরেছে বিজেপি। যে বিপুল জনসমর্থন লখনৌতে দেখা গিয়েছিল, তা যোগীদের হৃদকম্প ধরিয়ে দিয়েছে। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, উন্নয়নের নিরিখে উত্তরপ্রদেশে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা। যে গণতান্ত্রিক পরিবেশে তৃণমূলে রাজ্যটাকে পরিচালনা তা উত্তরপ্রদেশ-যোগী ভাবতেই পারেন না।
এবিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্রের দাবি, উত্তরপ্রদেশ-যোগী আদিত্যনাথের দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষের উপর কতটা নির্যাতন করা যায়। হাথরস-উন্নাওয়ের মতো ঘটনা ওই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তার নগ্ন চেহারাটা সামনে এনেছে। যেভাবে লখিমপুর খেরিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত কৃষকদের বুকের উপর নির্বিচারে-নির্দ্বিধায় গাড়ি চালিয়েছে, তার ছবি গোটা বিশ্ব দেখেছে। এমন নির্লজ্জ সরকারের কোনও কিছুর বিষয়ে মুখ খোলা শোভা পায় না। যোগীর মন্তব্য নিয়ে সরব সিপিএমও। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি যোগীর সমালোচনা করে টুইট করেন। যেভাবে বাম-শাসিত কেরল নিয়ে কটুক্তি করেছেন যোগী, তার সমালোচনা করে সীতারামের মন্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগেই তথ্যই প্রমাণ করে দিয়েছে, উন্নয়নের নিরিখে কেরল ১ নম্বরে, উত্তরপ্রদেশ সবার নীচে। এর পরই ইয়েচুরির কটাক্ষ, “যোগী হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন উত্তরপ্রদেশকে কেরল হতে গেলে বিজেপিকে হারতে হবে।”