বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল। অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল নিয়ে রাজ্যসভায় মোদীর সাম্প্রতিক বিবৃতির বিরোধিতা করেই আজ সংসদে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সাংসদরা এই প্রস্তাব আনে। এই বিষয় নিয়ে সংসদের উচ্চ কক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন টিআরএস কর্মী এবং কংগ্রেসের বিক্ষোভের পর আজ এই প্রস্তাব আনল টিআরএস সাংসদরা।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বিতর্কের জবাব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় মোদী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ সরকারকে দোষারাপ করেন সংসদে এপি পুনর্গঠন বিলের কোনও আলোচনা না করে ২০১৮ এর ফেব্রুরায়ি ‘তাড়াতাড়ি’ তা পাস করিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি তেলেঙ্গানা গঠনের বিরুদ্ধে ছিল না। তিনি বলেছেন, কিন্তু যখন সেই বিলটি লোকসভায় উত্থাপিত করা হয় তখন মাইক্রোফোনের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি কংগ্রেস সাংসদরা পেপার স্প্রে ব্যবহার করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ‘বিভাজন বিলটি কোনও বিতর্ক ছাড়াই পাস করা হয়েছিল এবং বিভাজন প্রক্রিয়া নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি, সেই কারণে উভয়পক্ষের মধ্যে তিক্ততা অব্যাহত রয়েছে’। এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। তেলেঙ্গানার বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস এবং টিআরএস বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তুলিকাও পোড়ানো হয়।
টিআরএস নেতারা দাবি করেছিলেন যে মোদীকে তেলঙ্গানার জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। যাঁরা একটি পৃথক রাজ্যের জন্য কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করেছিল তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। টিআরএস কর্মীরা, কালো ব্যাজ পরে এবং কালো পতাকা নিয়ে, মোটরসাইকেল র্যালি বের করে, বিক্ষোভ মিছিল করে এবং কালো বেলুন ওড়ায়। তারপর হায়দ্রাবাদে মন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস যাদবের নেতৃত্বে টিআরএস কর্মীরা বিধানসভার সামনে তেলেঙ্গানা শহীদ স্মৃতিসৌধে একটি বিক্ষোভ করে।