কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের পর এবার রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগমগুলিতেও বেজে গিয়েছে ভোটের বাদ্যি। নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট অনুযায়ী পুরভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই। আর সেদিকে তাকিয়েই জোরকদমে ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। পুরভোটের পরীক্ষায় এবার ১০ মন্ত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। রাজ্যের ১০৭ পুরসভার ভোটে একাধিক জেলায় দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক নেতাকে। সেই তালিকায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিধায়ক অনেকেই রয়েছেন। এই কো-অর্ডিনেটররা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রচার থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে নেতৃত্ব দেবেন।
যে দশ মন্ত্রী এর মধ্যে নজরে রয়েছেন তাঁরা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পুলক রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মানস ভুঁইয়া, ব্রাত্য বসু। এই কো-অর্ডিনেটরদের নাম ঘোষণা হওয়ার পরে অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি দলে ফিরে আসছে পর্যবেক্ষক পদ? যদিও দলের মহাসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই সব নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে প্রচার থেকে শুরু করে ভোটের যাবতীয় দায়িত্ব সামলানো। পুরভোটের কাজে সকলকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তাই এই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, দলের মহাসচিব নিজেও ঝাড়গ্রাম, নদীয়া জেলার দায়িত্ব সামলাবেন। যদিও তিনি বলছেন তিনি আসলে দলের সৈনিক হিসাবেই এই কাজ করছেন। পুরভোটে হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়কে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় দায়িত্ব পেয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ওই দায়িত্বে রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিষ চক্রবর্তী ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্বে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুরুলিয়া ও বাকুঁড়া জেলার দায়িত্বে পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বে জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে স্বয়ং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মলয়। জলপাইগুড়ির দায়িত্বে প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। দার্জিলিংয়ের দায়িত্বে গৌতম দেব। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব সামলাবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। নদীয়া জেলার দায়িত্বেও রয়েছেন পার্থ। তাঁর সঙ্গে থাকছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়। পার্থ জানিয়েছেন, পুরসভা নির্বাচনে জেলা সভাপতি ও বাকিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কো-অর্ডিনেটররা কাজ করবেন।