বারংবার দাবি জানানোর পরেও বকেয়া অর্থ মেটাচ্ছে না মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প হোক বা কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রকল্প, কোনও ক্ষেত্রেই মিলছে না প্রয়োজনীয় টাকা। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যে উন্নয়নের কাজ যাতে থেমে না থাকে, তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকার। একদিকে রাজ্যের মানুষের জন্য মানবিক প্রকল্পগুলি চালানো, অন্যদিকে গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে মানুষের কর্মসংস্থান ও আর্থিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্য নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজে আরও গতি আনতে কয়েক কোটি টাকা করে একাধিক দফতরকে দেওয়া হল। অর্থ দফতর সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়নর সঙ্গে সম্পর্কিত দফতরগুলিকেই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। যাতে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ ও প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারে দফতরগুলি।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ বৈঠকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, অযথা খরচ করা যাবে না। জরুরি প্রকল্প ছাড়া যেমন নয়া প্রকল্প করা হবে না, তেমনই যে প্রকল্পগুলি চলছে, তার কাজও দ্রুত শেষ করতে হবে। তার জন্য কড়া নজর দিতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট দফতর ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদেরও। মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে জানান, কোভিড অতিমারিতে রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হলেও কেন্দ্রীয় সাহায্য মেলেনি। এমনকী একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়নি রাজ্যকে। জিএসটি নিয়ে প্রাপ্য টাকাও বাকি রেখেছে কেন্দ্র। ইয়াসে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথপ্রকল্পগুলিতে কেন্দ্র তাদের অংশের টাকাও কমিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।