অখিলেশ যাদবের সমর্থনে লখনউতে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অখলেশকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের জনতার কাছে তাঁর আর্জি, ‘বিজেপিকে হারাতেই হবে। আর বিজেপিকে হারাতে গেলে আমার ভাইকে ভোট দিন।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি চলে যাওয়া মানে গোটা দেশ থেকে চলে যাওয়া।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুনেছি আমি আসছি বলে আজ বিজেপির ম্যানিফেস্টো প্রকাশ পেয়েছে। ওটা ম্যানিফেস্টো নাকি মানিফেস্টো। আগে করে দেখান। তারপর মুখে বড় বড় কথা বলবেন। শুনেছি আপনারা নাকি স্কুটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খালি প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছেন। আপনারা খালি মিথ্যা কথা বলেন। টিকা দেওয়ার জন্য টাকা কোথা থেকে আসছে? যোগীজি তো বলেছেন সাত কোটি টাকা খরচ করেছেন। সেই টাকা কি পিএম কেয়ার্স থেকে আসছে? তাহলে তো আর অডিটও হবে না।’
যোগী প্রশাসনের তুলোধনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘এখানে গুলির রাজত্ব চলে। ক্ষমতায় থেকে গুলির রাজনীতি করছেন এখানে। এখানে মা-বোনেদের খুব খারাপ অবস্থা।’ হাথরস-উন্নাওয়ের কথা স্মরণ করিয়ে এদিন মমতা বলেন, ‘ক্ষমা চান। হাথরস-উন্নাওয়ের মতো ঘটনার জন্য আপনাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ইতিহাস এই ঘৃন্য ঘটনা মনে রাখবে। আগে ক্ষমা চান, তারপর ভোট চাইবেন।’
এদিন সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশের জনগণকে সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘নতুন সূর্যোদয় দেখতে হলে, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিকে ভোট দিন। কারণ নতুন সূর্য আনতে পারবে একমাত্র অখিলেশ। ওঁকে ভোট দিয়ে জেতান। আপনারাই দেখিয়ে দিয়ে পারবেন। বিজেপিকে দেশ থেকে হটানোর কাজটা আপনারাই শুরু করুন। বাংলার হৃদয় আর আপনাদের হৃদয় সমান। আমাদের আর আপনাদের সংস্কৃতিও সমান। তাই বাংলা যা করতে পারে তা আপনারাও করে দেখান। তারপর আমরা মিলিতভাবে সব সামলে নেব। আর অখিলেশ জিতলে আমি আবার লখনউ আসব।’