হাত ও পদ্ম একসাথে! মেঘালয়ের রাজনীতিতে এল নতুন মোড়। তৃণমূল পা রাখতেই সেরাজ্যে বিজেপির কাছাকাছি চলে এসেছে কংগ্রেস। কোনও রাখঢাক না করেই সরাসরি বিজেপি সমর্থিত মেঘালয় সরকারে যোগ দিলেন কংগ্রেসের অবশিষ্ট পাঁচ বিধায়ক। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে চিঠি দিয়ে নিজেদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা আমপারিন লিংডো।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই সদলবলে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। মুকুলের সঙ্গে মোট ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেসকে ছেড়েছেন। ফলে রাতারাতি সেরাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে যায় তৃণমূল। রাজ্যে তৃণমূল পা রাখতেই কংগ্রেসের অবশিষ্ট পাঁচ বিধায়ক শাসক শিবিরে ভিড়ে যান। সেসময় মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করে আসেন আমপারিন লিংডো-সহ পাঁচ কংগ্রেস নেতা। যদিও তখন সরাসরি বিজেপি সমর্থিত মেঘালয় ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টে যোগ দেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু, মঙ্গলবার সরাসরিই চিঠি দিয়ে মেঘালয়ের শাসক জোটে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক।
এদিন কংগ্রেসের লেটারহেডেই মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে একটি চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের অবশিষ্ট পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক। সমর্থনপত্রে কংগ্রেস বিধায়করা বলছেন, “আমরা এমডিএ সরকারের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে আমরা সরকারের পাশে থাকব এবং সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করব।” কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। এই মুহূর্তে মেঘালয়ে কনরাড সাংমার নেতৃত্বে মেঘালয় ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অর্থাৎ এমডিএ-র সরকার চলছে। যা কিনা বৃহত্তম এনডিএরই অংশ। ঘটনাচক্রে দু’জন বিজেপি বিধায়কও এই সরকারের অংশ। এবং একজন মন্ত্রীও রয়েছেন বিজেপির। অর্থাৎ, মেঘালয়ে তৃণমূল পা রাখতেই কংগ্রেস বিজেপি সমর্থিত সরকারকে সমর্থনেও কুন্ঠিত হচ্ছে না। যদিও, এই বিধায়কদের অবস্থান দলের অবস্থান নাকি তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।