পদ্মশিবিরে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছিল আশঙ্কা। বাংলায় বিজেপির দুই সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং লকেট চট্টোপাধ্যায় দলবদল করে নাকি তৃণমূলে যেতে পারেন। তাই কী বাংলার রাজনীতি থেকে কার্যত দু’জনকেই রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে যেমন উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনভাবে শান্তনু ঠাকুর প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পরে বাংলায় মতুয়া বিদ্রোহ সামলানোর জন্য শান্তনুকে রাতারাতি উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
যদিও লকেট বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে শান্তনুর মত মুখ খোলেন নি, তাকে নিয়ে কিন্তু জল্পনার শেষ নেই। বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চা থেকে তাকে সরানোর পরই শুরু হয় জল্পনা। এরকম শোনা গেছে যে, বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বারংবার নাকি নালিশ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে, কিন্তু তাতে নাকি বিশেষ লাভ হয় নি। পাশাপাশি, শান্তনুর সঙ্গে এখনো বিশেষ কোনও সুবিধা করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপির নেতারা, এরকমই গুজব ঘুরছে। তিনি যাতে আরও বিধায়কদের রাগিয়ে দল ভাঙাতে না পারেন, সেই জন্য তাঁকে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।