বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। পাশাপাশি বিজেপির প্রাথমিক সদস্য পদও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুদীপের সঙ্গেই বিজেপির বিধায়ক পদ এবং সদস্য পদ ছাড়েন আশিস সাহাও।
এবার কোন দলে যোগ দেবেন সুদীপ-আশিস? ত্রিপুরার রাজনীতিতে এটাই এখন সবচেয়ে বড় জল্পনা। একটি অংশের বক্তব্য সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন। আরেক অংশ বলছেন, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সুদীপ। গত কয়েক মাসে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে তাঁর। ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে সুদীপ নিজে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরে সুদীপ রায় বর্মনকে ত্রিপুরার মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বিপ্লব দেবরা। ঘটনা হল, সুদীপ মন্ত্রী থাকাকালীনও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর সংঘাত ছিল সুবিদিত। মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার পর তা আরও চরম আকার নেয়। সুনীল দেওধর থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে ত্রিপুরার বর্তমান পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকররা অনেক চেষ্টা করেও সুদীপ এবং তাঁর বাহিনীর ক্ষোভকে নেভাতে পারেননি।
গত ১২ জানুয়ারি দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে একটি রক্তদান শিবিরে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল সুদীপকে। সেদিনই ৬ আগরতলার বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর বিজেপিতে থাকবেন না। যে পার্টি লোক লেলিয়ে দিয়ে বিবেকানন্দের জন্মদিনে নিজের দলের বিধায়ককেই হামলার মুখে ফেলে সে পার্টি ত্রিপুরার কলঙ্ক। ওঁই ঘটনার এক মাসের মধ্যেই বিধায়ক ও বিজেপির সদস্য পদ ছাড়লেন সুদীপ।