২০২১ সালে তৃতীয়বারের জন্য নবান্ন দখলের পর থেকেই ভিন রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। সেই সূত্রে ত্রিপুরার পুরভোট তো বটেই, গোয়া বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করছে জোড়াফুল। এ বার উত্তরপ্রদেশের ভোটেও ভূমিকা নিতে চলেছে তৃণমূল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সমাজবাদী পার্টির হয়ে ভোটপ্রচারে লখনউ যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে লখনউ পৌঁছবেন তিনি। সম্প্রতি তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমন কথা জানিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ।
ইতিমধ্যেই কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী। এর পরই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছিলেন, ২ দফায় উত্তরপ্রদেশে ভার্চুয়াল প্রচারে যাবেন তৃণমূলনেত্রী। আজ, সোমবার বিকেলে লখনউ যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণ রুখতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সভা সমাবেশ করা নিষিদ্ধ। তাই সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেবেন মমতা। এর পর মঙ্গলবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে অখিলেশের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এর পর আরেকটি সফরে বারাণসী যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর। সেখানেও অখিলেশের সঙ্গে সভা করবেন তিনি।
২০২৪ এর লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী! বিজেপির বিরুদ্ধে সব শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর এই অবস্থায় বাংলায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের টার্গেটও ফিক্সড করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দিন কয়েক আগেই নেতাজি ইন্ডোরে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল।
সেখানেই তিনি বলেন, অন্য রাজ্য যাওয়ার আগে ঘর মজবুত করতে হবে। ফলে সেখানে আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে। আর তা করতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের ঝগড়া না করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাংলায় বিজেপির শক্তি বাড়ে এমন কাজ না করারও কথা বলেন নেত্রী। আর এরপরেই দলের নেতা-কর্মীদের কার্যত লোকসভায় টার্গেট আসন ফিক্সড করে দেন। বলেন, লোকসভায় বাংলায় ৪২-এ ৪২ আসন চাই। এর জন্য দ্বন্দ্ব না করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে।