মঙ্গলবারই লখনউতে অখিলেশ যাদবের সমর্থনে ভার্চুয়াল প্রচার সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশ উড়ে যাওয়ার আগে নাম না করে কংগ্রেসের প্রতি অসন্তোষের সুর শোনা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে লখনউ উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ”হ্যাঁ, আমি উত্তরপ্রদেশে লড়ছি না।
কিন্তু, অখিলেশ আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর সমর্থনে প্রচার করতেই আমি উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছি। আমি চাই ও জিতুক। সাধারণ মানুষের ওঁর প্রতি ভরসা আছে। সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশের মানুষকে একটা দিশা দেখিয়েছে। বিজেপি হারানো দরকার।।”
একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ”উত্তরপ্রদেশে সকলে একসঙ্গে লড়ুক এটাই চেয়েছিলাম। সবাই একসঙ্গে লড়াই করলে ভালো হত। আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, অনেকেই তা শোনেনি।” তাঁর এই মন্তব্য ঘুরপথে কংগ্রেসকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকার ঘিরে দলীয় অসন্তোষ নিয়েও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ”বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। পার্থ আর সুব্রতর দেওয়া তালিকাি চূড়ান্ত তালিকা।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি কার্যত তালিকা অসন্তোষ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের ইতি ঘটালেন। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, সোমবারই উত্তরপ্রদেশ উড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিকেলে লখনউ পৌঁছবেন মমতা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির দফতরে মমতা ও অখিলেশের বৈঠক রয়েছে। এরপরেই তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি শিবিরকে বেশ খানিকটা কাবু করেছে সপা। স্বামী প্রসাদ মৌর্য সহ একাধিক অনগ্রসর শ্রেণীর নেতা মন্ত্রীরা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। যোগীর শিবিরে ধস রুখতে ব্যাটন হাতে তুলে নিতে হয়েছে খোদ অমিত শাহকে।
এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরপ্রদেশ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, এবারে বিজেপি-কে হারাতে মরিয়া সপা। আর সেই কারণেই এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছেন খোদ সমাজবাদী পার্টি চিফ অখিলেশ যাদব। কারহাল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যোগী বাহিনীকে টক্কর দিতে চলেছেন অখিলেশ।