সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে কলকাতার বুকেও। সারা শহরে সরকারি ও বেসরকারি স্কুল মিলিয়ে ৫০০’র বেশি শিবির বসেছে এই কর্মসূচির পালনে। পার্ক, খোলা মাঠ ও স্কুল চত্বরে বসেছে এই শিবির। তাতে উপস্থিত হয়েছে প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেনীর পড়ুয়ারা।
এদিন বেলার দিকে চেতলা অগ্রণীর মাঠে চেতলা বয়েজ স্কুলের ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি দেখতে হাজির হন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষন সময় সেখানে কাটান মেয়র। একই সঙ্গে এই কর্মসূচিতে রান্না করা মিড ডে মিল খাওয়ানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এদিনের কর্মসূচিতে।
এরকমভাবেই মাঠে আনন্দ করে ক্লাস হবে। এক একটা স্কুল এক-এক জায়গায় ক্লাস করবে। যেখানে পড়ুয়া বেশি, সেখানে ক্লাস হবে। শান্তিনিকেতনেও তো গাছের তলায় পড়াশোনা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরু করে গিয়েছিলেন। প্রকৃতির মাঝখানে পড়াশোনা করার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই। এটার একটা আলাদা আনন্দ আছে, কিছুদিন উপভোগ করুক।’
এদিন কলকাতায় যেসব ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচির শিবির বসেছে সেই সব শিবিরকে বেলুন, ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। কোথাও কোথাও আবার পড়ুয়াদের হাতে চকলেট, পেন, মাস্কও তুলে দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের গায়ে যাতে সরাসরি রোদ না পরে তার জন্য টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা বা ত্রিপল। মাটিতে বসার জন্য বিছোনো হয়েছে ত্রিপল ও শতরঞ্জি। শৌচালয়ের জন্য রাখা হচ্ছে বায়ো টয়লেট।
যেখানে বায়ো টয়লেট থাকছে না, সেখানে কাছাকাছির মধ্যে থাকা সুলভ শৌচালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এদিন থেকে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় ওই সব শৌচালয় স্যানিটাইজ করানো হচ্ছে। এদিন পড়ুয়াদের হাতে হাতে প্যাকেট মিল দেওয়া হলেও আগামি দিনে তাঁরা রান্না করা মিড ডে মিল পাবেই বলে জানা গিয়েছে। এদিনের মিলের প্যাকেটে থাকছে আলুর দম আর ফ্রায়েড রাইস।
সোমবার ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘সব জায়গায় দেখলাম পড়ুয়ারা বেশ উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ক্লাস করতে হাজির হয়েছে। ওরা বেশ খুশি এখানে এসে। অনেক নতুন বন্ধু পাচ্ছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি যতদিন না ঠিক হচ্ছে, যতদিন না ক্লাসে পড়াশোনা চালু হচ্ছে ততদিন এভাবেই পাড়ায় শিক্ষালয় চলবে।