সম্প্রতি পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। মোদী সরকার দাবি করেছে, তারা যথাসাধ্য করেছে শিল্পবান্ধব পরিবেশ উপহার দেওয়ার জন্য। এবার শিল্পমহল অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কিছু করুক। সরকারের বক্তব্য, একের পর এক শিল্পমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেটেও দেওয়া হয়েছে সহায়তার বার্তা। এবার শিল্পমহলকেও এগিয়ে আসতে হবে। এখন অন্তত ব্যবসায়ীরা লগ্নী করুন। অন্যদিকে শিল্পমহলের সাফ বার্তা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে টাকার জোগান বাড়াতে ১০০ দিনের কাজে আরও জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে বরাদ্দ ছেঁটে দেওয়ার বদলে তা বাড়াতে হবে।
প্রসঙ্গত, বণিকসভা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) ন্যাশনাল কাউন্সিলে উপস্থিত হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। সবেমাত্র বাজেট ঘোষণা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী তাই বুঝতে চাইছিলেন শিল্পমহলের প্রতিক্রিয়া। পাশাপাশি শিল্পপতিরাও সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে উৎসাহী ছিলেন। এই অনুষ্ঠানেই অর্থমন্ত্রী সরাসরি শিল্পমহলকে আবেদন করলেন, এখন সময় এসেছে দেশের শিল্প গোষ্ঠীগুলি লগ্নী করুক বিভিন্ন সেক্টরে। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, এবার কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিকরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেই পদক্ষেপকে আরও বেশি জোরালো করা হয়েছে। চিরাচরিত শিল্পক্ষেত্রগুলির পাশাপাশি নতুন নতুন সেক্টরেও শিল্পমহল বিনা দ্বিধায় এগিয়ে আসুক।
উল্লেখ্য, একদিকে যেমন অর্থমন্ত্রী শিল্পমহলকে আবেদন করেছেন লগ্নীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে, ঠিক তেমনই বণিকসভায় কিছু শিল্পপতি অর্থমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ অর্থনীতির কথা। তাঁরা বলেছেন, গ্রামীণ অর্থনীতির ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই মুহূর্তে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থের জোগানই হবে প্রধান চালিকাশক্তি। সেই লক্ষ্যে সেরা মাধ্যম ১০০ দিনের কাজ। তাই সরকারের উচিত ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পকে চাঙ্গা রাখা। বরাদ্দ যেন কম করা না হয়। প্রয়োজনে বাড়াতে হবে। শিল্পমহল এই পরামর্শ যখন দিচ্ছে, তখন মোদী সরকার কিন্তু বাজেটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে চলতি অর্থবর্ষের তুলনায়। ২০২১-২২ সালে মোট ৯৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে সংশোধিত বাজেটে। এবার বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৭৩ হাজার কোটি টাকা।