যে দেশ অন্য দেশে প্রবেশ করে সন্ত্রাস চালায়, তাদের উপস্থিতিতে সার্কে যোগদান সম্ভব নয়। অতএব বয়কট। ২০১৬ সালে সার্ক সম্মেলনের আগে এমনই বলেছিল নয়া দিল্লী। কিন্তু চীন অলিম্পিকে সেই বজ্র নির্ঘোষ কি স্তিমিত হয়ে গেল?
চীনও গত দু’বছর ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। কিন্তু মোদী সরকারের সেই নির্ঘোষ এ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। শুধু তাই নয়, গালওয়ানে ঢুকে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া চীনা কমান্ডারকে বেজিং শীতকালীন অলিম্পিক্সের মশালবাহক করার সিদ্ধান্তকে স্রেফ ‘নিন্দনীয়’ বলে ক্ষান্ত দিল বিদেশ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে অলিম্পিক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান কূটনৈতিক ভাবে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অর্থাৎ, ভারতের ভুখণ্ডে ঢুকে হত্যাকাণ্ড চালানো চীনা সেনার মশালের আলোয় উদ্ভাসিত অলিম্পিক্সে অংশ নেবেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ।
কূটনেতিক বিশ্লেষকদের মতে, গালওয়ানের সেনাকে মশালবাহকের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে চীনের জোরালো ভারত-বিরোধিতার রাজনীতি রয়েছে। বেজিংয়ের দর্পিত বার্তা স্পষ্ট। গালওয়ানে যা হয়েছে তাকেই বৈধতা দেওয়া এবং গৌরবান্বিত করা হয়েছে বিশ্বের চোখের সামনে। অর্থাৎ গত দু’বছর ধরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে চীনা সেনা যা করছে, তা বন্ধ হবে না। সেটাই চীনের নীতি। বিশ্বের সামনে বুক ঠুকে তা প্রকাশ করতেও দ্বিধা নেই সে দেশের।