আর কয়েকদিন পরই জেলায় পুরোভোট। আঁট-ঘাট তৈরি করে পথে নেমেছে শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেক শিবির। যদিও, পূর্ব মেদিনীপুরে এখনও ঠিক হয়নি প্রার্থী তালিকা। এবার খাস অধিকারী গড়েই শুরু হল পোস্টার বিতর্ক। যদিও, শাসক থেকে বিরোধী কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া করতে চায়নি বিষয়টি নিয়ে। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি এবার পোস্টার বিতর্ক থেকে নাম এড়াতে পারল না পূর্ব মেদিনীপুর। শুক্রবার মডেল স্কুলের দেওয়ালে পড়েছে এই রকমই কিছু রাজনৈতিক পোস্টার।
যদিও, সর্বক্ষেত্রকে বিঁধেই এই পোস্টার পড়েছে কাঁথির মডেল স্কুলের দেওয়ালে। এদিকে, কাঁথি অর্থাৎ যেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি সেইখানে এমন রাজনৈতিক পোস্টার পড়ায় জল্পনা তুঙ্গে। তবে পোস্টার গুলিতে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না থাকলেও বিজেপি-র আদি-নব্য দন্দ্বই যে ফুটে উঠছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী পরিচালিত পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে বড়সড় গরমিল ধরা পড়ায় রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয় জেলা প্রাশাসনকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য।
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেত আগরওয়াল, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানব সিংহলের নেতৃত্বের কমিটি তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ একমাস ধরে চলে সেই তদন্ত। তখনই ধরা পড়ে গরমিল।
ওই পোস্টারে লেথা, ‘নীতি আদর্শ নিয়ে যারা এত দিন দল করলো তাদের গুরুত্ব না দিয়ে সব ক্ষেত্রেই দল বদলুদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’ তবে, এই পোস্টার নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কিছু বলতে চায়নি। অন্যদিকে, শাসকদলও তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। কারণ প্রার্থী নিয়ে বাছাই নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে সব দলেই। তবে রাজনৈতিক মহলের বলছে, শুক্রবারের এই পোস্টারে মূলত ক্ষোভ প্রকাশ রয়েছে আদি বিজেপি রাই।
জেলার রাজনীতিতে দেখা গিয়েছে যাঁরা মূলত অন্য দল থেকে এসেছে তাঁরাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কয়েকদিন দিন আগেও তমলুক সাংগঠনিক জেলার আদি বনাম নব্য একটা সংঘাত দেখা গিয়েছে। তাহলে কি এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে বাড়তি চাপ দেওয়ার চেষ্টা চলেছে দলগুলির অন্দরে? এদিনের পোস্টার অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।