অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গত মঙ্গলবার সংসদে ২০২২-’২৩ অর্থ বছরের জন্য যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে একশো দিনের কাজে প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়েছেন প্রায় ২০ বাজার কোটি টাকা। বাস্তবে বরাদ্দ অর্থও এই প্রকল্পে মানুষ মজুরি বাবদ পাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে সরকারি মহলেই। কারণ, চলতি আর্থিক বছরেই এই প্রকল্পে ৩৩৫৮ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। ওই টাকা রাজ্যগুলির প্রাপ্য। যা মেটানো হতে পারে আগামী বছরের বরাদ্দ থেকে।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকারগুলি তাদের তহবিল থেকে মজুরি মিটিয়ে থাকে। পরে কেন্দ্র প্রাপ্য মেটায়। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, বকেয়া প্রাপেকের তালিকায় এক নম্বরে আছে বাংলা। এ রাজ্যের বকেয়ার পরিমান ৭৫২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তরপ্রদেশ। ওই রাজ্যের বকেয়া ৫৯৭ কোটি টাকা। বকেয়া প্রাপকের তালিকায় উপরের দিকে আছে ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানও।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের অনেকেই বকেয়ার এই বিপুল অঙ্ক নিয়ে চিন্তিত। তাদের বক্তব্য, চলতি আর্থিক বছরে বকেয়া পাওয়ার কোনও আশা নেই। ফলে বাকি পড়ে থাকা ৩৩৫৮ কোটি টাকা মেটানোর দায় বর্তাবে পরের বছরের বাজেটের উপর। যার অর্থ আগামী আর্থিক বছরের জন্য বরাদ্দে পরিমান বাস্তবে আরও কমে যাবে।
করোনা মহামারীর কারণে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ জোগানোর ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশের বহু আর্থিক বিশেষজ্ঞ। মধ্যবিত্তদেরও আয়করে সুবিধা দিয়ে চলতি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বস্তি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকার এবার সে পথে হাঁটেনি। উল্টে কাজের বিনিময়ে নগদ জোগানোর সর্ববৃহৎ প্রকল্প ১০০ দিনের কাজ কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। সরকারের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর এই প্রকল্পে আগের মতো কাজের চাহিদা নেই।