অব্যাহত বিজেপির আভ্যন্তরীণ কোন্দল। পুরভোট ঘোষণা হলেও কোচবিহারে এখনও নিজেদের প্রার্থীতালিকাই চূড়ান্ত করতে পারল না গেরুয়াশিবির। ঠিক কবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, তা নিয়ে সংশয়ে খোদ বিজেপির নেতা-কর্মীরাই। দলের অন্দরের খবর, সম্প্রতি জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর গোষ্ঠী কোন্দল আরও বেড়েছে। জেলার নতুন সাংগঠনিক কমিটি নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ উগরে দিচ্ছেন একাধিক নেতা-কর্মী। অনেকে আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন জেলা কমিটি নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যার জেরে পুরসভা ভোটের মুখে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকে দলের অন্দরে থাকা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। অস্বস্তিতে পড়েছে দলের জেলা নেতৃত্বে। তার প্রভাব পড়েছে কোচবিহার পুরসভা ভোটে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রেও। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, পুরনির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যোগ্যদের বাদ দিয়ে পদ্ম-নেতাদের কাছের লোকেদের প্রার্থী করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দলের একাংশ কর্মীর অভিযোগ। তাতেই জেলা কমিটির পর নতুন করে পুরসভা ভোটের প্রার্থী বাছাই করা নিয়ে কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেসের খোঁচা, পদ্মশিবির ছন্নছাড়া। যদিও প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপির কোনও নেতা বৃহস্পতিবার মুখ খুলতে চাননি। বিজেপির এই অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ওদের দলের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা আমরাও জানতে পারছি। যদিও ওটা ওদের দলীয় বিষয়। এতে আমার বলার কিছু নেই। তবে বিধানসভা ভোটের পর থেকে জেলায় সাংগঠনিকভাবে বিজেপির তেমন কোনও অস্তিত্ব নেই। গেরুয়াশিবির ছেড়ে তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন। পুরসভা ভোটে কোচবিহার শহরে ওরা যাকেই প্রার্থী করুক না কেন, সব আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হবেন।”
