দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে বিজেপি বাদে বাকি দলগুলিকে পরিদর্শক হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তৃণমূল। কোনও দলই তাতে সাড়া দেয়নি। এবার সেই সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়েই বাম ও বিজেপিকে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানাল রাজ্যের শাসক দল। বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনকে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের আদর্শ দৃষ্টান্ত বলেও দাবি করেছে জোড়াফুল শিবির।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোাধ্যায় বুধবার সাংগঠনিক নির্বাচন থেকে পুনরায় দলের শীর্ষ পদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নেতাজি ইনডোরে গতকাল তৃণমূলের আমন্ত্রণে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজের নানা অংশের মানুষ। তৃণমূল এই বিষয়টিকেই গণতন্ত্রের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শনের আদর্শ নিদর্শন বলে দাবি করছে।
এই প্রসঙ্গেই তারা নিশানা করেছে সিপিএম ও বিজেপিকে। সিপিএম দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার কথা বলে থাকে। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠের মত অনুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্ত বাকিদের মেনে চলতে হবে, ওই নীতির সেটাই মোদ্দা কথা। তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলা বৃহস্পতিবার সম্পাদকীয়তে বলেছে, সিপিএমের এই নীতি মানুষ বোঝার আগেই দলটা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বিজেপি সম্পর্কে গতকাল নেতাজি ইনডোরের সভামঞ্চ থেকে মমতা বারে বারেই নাম না করে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে নিশানা করেন। বলেন, বিজেপিতে এখন দুজন নেতা। রাজ্যের শাসক দল মুখপত্রে বলেছে, বিজেপি এমন একটি দল যাদের নেতা বদল হলে পুরনোদের সরে যেতে হয় নেতৃত্ব থেকে। যারা আন্দোলন করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তাদের বলা হয় সরে দাঁড়ান। নতুনদের কাজ করতে দিন।