সম্প্রতি ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর হলোগ্রাম মূর্তি বসিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আজ হঠাৎই সূত্রপাত হল বিপত্তির। দেখা গেল, উধাও হয়ে গিয়েছে আলো। ফলত দেখাই যাচ্ছে না মূর্তিটি। আর তা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা ইন্ডিয়া গেটে তাঁরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে শামিল সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, মৌসম নূররা। তাঁদের অভিযোগ, সমারোহ করে নেতাজীর হলোগ্রাম মূর্তি উদ্বোধনের পর তা আঁধারে রাখা হচ্ছে। এর চেয়ে অপমানজনক কিছু হতে পারে না। তৃণমূল সাংসদদের আরও বক্তব্য, এখানেও ‘অন্তর্ধান রহস্য’। তাঁদের এই বিক্ষোভ ঘিরে ইন্ডিয়া গেট চত্বরে ছড়াল চাঞ্চল্য।
উল্লেখ্য, এ বছর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী বা পরাক্রম দিবসে উপলক্ষে ইন্ডিয়া গেটে বসতে চলেছে গ্রানাইটের নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি। তবে যতদিন না আসল মূর্তিটি তৈরি হচ্ছে ততদিন সেই স্থানে থাকবে তাঁর একটি হলোগ্রাম মূর্তি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, নেতাজীর জন্মদিনে হলোগ্রাম মূর্তির উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘড়ির কাঁটায় সন্ধে ৬টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ নেতাজীর মূর্তির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বেজে ওঠে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বিখ্যাত গান, ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’। ৩০,০০০ লুমেন ফোরকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অদৃশ্য হাই গেইন সম্পন্ন ৯০ শতাংশ স্বচ্ছ হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে তৈরি করা হয়েছে নেতাজীর থ্রিডি অবয়বটি।
যদিও এই মূর্তি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নেতাজী পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু এই হলোগ্রাম মূর্তির আদল নিয়ে আপত্তি তোলেন। আদল ঠিক হয়নি বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছেন চন্দ্র বসু। তারও আগে এই ইস্যুতে টুইট করেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতারও। আর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সেই মূর্তি আঁধারে ঢেকে যাওয়ায় প্রতিবাদমুখর হলেন তৃণমূল সাংসদরা। সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, মৌসম নুর, শান্তা ছেত্রী-সহ লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড – তাতে লেখা ‘কেন নেতাজীর মূর্তি অন্ধকারে রাখা হল?’, ‘আলো দিন’, ‘দূর করুন অন্ধকার’-সহ একাধিক বার্তা। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার লোকসভায় সরব হতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদরা।