ধর্মান্ধতা এবং ধর্মীয় আধিপত্যের হুমকির মুখে দেশ। ধর্মকে হাতিয়ার করে প্রায়শই ঘটছে ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে হিংসার ঘটনা। এবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নেতা-নেত্রীদের চিঠি লিখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সমতা, আত্মসম্মান এবং সামাজিক ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী সকলে একত্রিত হলেই ধর্মান্ধতা এবং ধর্মীয় আধিপত্যের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে।’
পাশাপাশি, গত ২৬ জানুয়ারি তাঁর প্রতিষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস-এ তাঁদের দলীয় প্রতিনিধিদের সদস্য মনোনীত করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। এই প্ল্যাটফর্মটি, ভারতে সামাজিক ন্যায়বিচারের লড়াইকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করতে এবং সমস্ত রাজ্যের মিলিত গৃহীত একটি সাধারণ কর্মসূচী করার বিষয় চিহ্নিত করে তৈরি হয়েছে।
বুধবার স্ট্যালিন দেশের সব স্তরের ৩৭ জন নেতানেত্রীকে চিঠি লেখেন। সেই তালিকায় রয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধী, লালু প্রসাদ যাদব, ফারুক আবদুল্লাহ, শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ অনেকে। দেশ ‘ধর্মান্ধতা এবং ধর্মীয় আধিপত্যের হুমকির মধ্যে’ উল্লেখ করে স্ট্যালিন চিঠিতে লিখেছেন, ‘সমতা, আত্মসম্মান এবং সামাজিক ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী সকলে একত্রিত হলেই এই শক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে।’
নির্যাতিত, নিপীড়িতদের সঠিক স্বীকৃতি দিতে এক জোটে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘প্রতিটি পদক্ষেপে, নির্যাতিতদের অবশ্যই ইতিবাচক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। জাতিগত বৈষম্যের সঙ্গে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য আমাদের অবশ্যই অসাধারণ পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মূল স্রোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম করতে হবে।’