‘মানুষের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে হবে’, প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি আধিকারিকদের এমনই নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই বৈঠক ডাকেন তিনি। বাংলার কোথায়, কী রকম কাজ চলছে তা নিয়ে পর্যালোচনার জন্যই ওই বৈঠক ডাকেন তিনি। আমলাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘উপরতলার কর্মীরা কিন্তু নিচুতলার কর্মীদের কাজ দিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলছেন। এমনটা চলবে না। সিএমও গ্রিভান্সে এ নজর দিন। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া আর তাঁদের অভিযোগ দূর করাটাই কিন্তু প্রায়োরিটি। মানুষের অভিযোগ শুনতে হবে। বিডিও গ্রিভান্সও তো আছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘যাঁরা কাজ করছেন না, তাঁদের মধ্যে কাজ করার প্রবণতা আনতে হবে।’
রাজ্যের প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘১৮টি আরও নয়া পরিষেবা যুক্ত হচ্ছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, আরটিজান ক্রেডিট কার্ড, মৎস্যজীবীদের ক্রেডিট কার্ড, ওয়েবার কার্ড আনা হচ্ছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও দুয়ারে সরকার চালু হবে। কোভিডের জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছিল। ১ কোটি ৫০ লাখ লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় আনা হয়েছে। চার হাজার ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারে। বাকিদের বলব দরখাস্তে ভুল আছে কিনা দেখুন। যাঁরা আবেদন করেননি, তাঁরা করুন।’
প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এক লাখ ১৪ হাজার জন আবেদন করেছে। ১৪ হাজার জনের হয়ে গিয়েছে। ২৫ হাজার জনকে প্রভিশনালি অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কিছু ব্যাঙ্ক একেবারেই সহযোগিতা করছে না।’ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, ‘আমাকে বলতে পারেন কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে কেন সাহায্য নেওয়া হচ্ছে না কেন? আর কতবার আমাকে একই কথা বলতে হবে? অন্য ব্যাঙ্ক না কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লোন দেবে।’