এলাকার সমস্যা পাড়াতেই মিটিয়ে ফেলতে আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পাড়ায় সমাধান। প্রথম দিনেই রাজ্যজুড়ে ৯০৮টি ক্যাম্পের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে।ক্যাম্পগুলিতে এলাকার মানুষ গিয়ে পাড়ার ছোটখাট সমস্যার কথা জানতে পারবেন। এলাকার স্কুলে নতুন ক্লাসরুমের প্রয়োজন থাক বা কোথাও যদি কালভার্ট তৈরির কাজ করতে হয়, সমস্ত অসুবিধের কথা তুলে ধরে আবেদন করা যেতে পারে পাড়ায় সমাধানের ক্যাম্পে।
অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় যে অর্ধেক কাজ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই বিষয়গুলিও সরকারের নজরে অনা যাবে পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে। আবার কোনও এলাকায় যদি অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন থাকে বা অ্যাম্বুলেন্সের একেবারে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছতে গেলে নদীর উপর প্রয়োজন একটি ছোট ব্রিজ।
সেক্ষেত্রেও পাড়ায় সমাধান সাহায্য করবে এই ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে। এই ক্যাম্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং আবেদন অনুযায়ী প্রকল্প রূপায়ণের জন্য জেলা ও রাজ্য উভয় স্তরেই তৈরি হয়েছে টাস্ক ফোর্স। দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় সমাধানের জন্য রাজ্য স্তরের টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় অধিকারীরা। সম্পূর্ণ কাজ চলবে নবান্নের নজরদারিতে।
নবান্ন সূত্রের খবর, দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কোথায়, কতগুলি হবে জেলায় জেলায় চলছে তা নিশ্চিত করার কাজ। এখনও পর্যন্ত ১১,৫৪০টি ক্যাম্প চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সংখ্যাটি বেড়ে কয়েক গুণ হবে। গতবার, অর্থাৎ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ১ লক্ষ ৪ হাজার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হয়।
যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৬৯ লক্ষের বেশি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার থেকে পাড়ায় সমাধান শুরু হচ্ছে। আর দুয়ারে সরকার শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। রাজ্যের এই প্রকল্পগুলি আগে থেকেই চলছিল। অতএব এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। পাড়ায় সমাধান ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কোভিড বিধি মেনেই করা হবে।
পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে আবেদনপত্র ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হবে। সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখে ১৫-২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে প্রকল্প তৈরির কাজ। আর তা রূপায়ণের কাজ শুরু হবে ১ মার্চ থেকে। উল্লেখ্য, দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আবেদন নেওয়ার কাজ চলবে দু’দফায়। প্রথম দফায় আবেদন জমা নেওয়া হবে ১৫-২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১-৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় দফায় আবেদন নেওয়ার কাজ।
নবান্ন সূত্রের খবর, দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের কাজ ভালোভাবে রূপায়ণের জন্য আরও উন্নত মানের অ্যাপ তৈরি করেছে রাজ্য। এর মাধ্যমে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলির জিপিএস ম্যাপিং করতে পারবেন আধিকারিকরা। কোনও প্রকল্পের পরিদর্শনে গেলে সেখান থেকেই সমস্ত তথ্য আপলোড করে দেওয়া যাবে পরিবর্তী পদক্ষেপের জন্য।