রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে টুইটারে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই সে কথা জানালেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়েছি ওঁকে ব্লক করতে। বারবার বিরক্ত করছিলেন। উনি এখন সবার মাথার উপরে বসে থাকবেন। সব বিষয় ওঁর কথামতো হবে! আমরা তো চাকরবাকর। রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ওঁর কথা মেনে চলতে হবে! আমি বাধ্য হয়েই ওঁকে ব্লক করেছি। এমন এমন কথা বলতেন যেন উনি এ রাজ্যের সুপার পাহারাদার’!
এদিন সকালেই সংসদে পৌঁছেছিল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আঁচ। বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির কাছে এমনই আবেদন জানালেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ শেষ হওয়ার পরেই ওই আবেদন জানান সুদীপ। জানা গিয়েছে, সে সময়ে সাংসদদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছিলেন। এমনটাই সূত্রের খবর। তাঁর কথায়, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলার রাজ্যপালকে অপসারণ করা জরুরি।’ তবে প্রত্যুত্তরে রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন, তা জানা যায়নি। আসলে দেশের রাষ্ট্রপতিই রাজ্যপালকে নিয়োগ করে থাকেন। তাঁকে অপসারণ করার ক্ষমতাও রাজ্যপালের রয়েছে। আর সেই কারণেই রাষ্ট্রপতির কাছে ওই আবেদন করেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা।
রথম থেকেই রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত বাধে। বর্তমানে তা চরমে। তৃণমূল যে শীর্ষস্তরে ধনকরকে অপসারণের দাবি তুলতে পারে, তা কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল। সাম্প্রতিককালের কিছু ঘটনায় সেই দ্বন্দ্ব আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। রবিবার সকালে মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে গান্ধীঘাটে গিয়েও রাজ্যকে তোপ দাগেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।