সংস্কারমুখী নয়, কেন্দ্রীয় বাজেট এবার জনমোহিনীই হতে চলেছে। যাকে বলে, ভোটবাজারের বাজেট। এমনটাই জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে। পাঁচ রাজ্যে ভোট। স্বাভাবিক ভাবেই বাজেটের মাধ্যমে আমআদমির মন জয় করার গুরুদায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাঁধেই।
উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের পাঁচ নির্বাচনমুখী রাজ্যের জন্য বাজেটে যে চমক থাকবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সড়ক, রেল, স্বাস্থ্য এই তিন বিষয়কে সামনে রেখে ভোটমুখী রাজ্যগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ার সম্ভাবনায় প্রবল। গত বছরের বাজেটে যেভাবে সেই সময়ের ভোটমুখী রাজ্য বাংলা, তামিলনাডু, কেরল, অসমের জাতীয় সড়কের কাজের জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবারেও সেই একই প্যাটার্ন দেখা যাবে বলেই আন্দাজ করা হচ্ছে। আবার ভোটের কথা মাথায় রেখেই স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ‘হর ঘর জলের’ মতো কোনও নতুন প্রকল্পও এবারের বাজেটে ঘোষণা করা হতে পারে বলে খবর।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশের সমস্ত শিল্পমহল, বণিকসভা-সহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন অর্থমন্ত্রী। তাতে বণিকসভার তরফ থেকে যেমন আবাসন, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা আবাসন যোজনা, মাঝারি ও ছোটো শিল্প ক্ষেত্র, এমএসএমই সেক্টরকে বাজেটের মাধ্যমে সাহায্য করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তেমনই আবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এই সবকটি বিষয়কেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে নজর দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বাজেটকে জনমোহিনী করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে আর্থিক ঘাটতির সম্মুখীন হতে হবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে বিশেষ ভাবিত নয় কেন্দ্র। ভোট পার হলেও পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ানোর রাস্তায় গিয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার রাস্তা তো খোলা থাকছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।