খোলা বাজারেও ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে বাজারে করোনার দুই টিকা কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড বিক্রি করা যাবে কিনা সে নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তাতে সম্মতি পাওয়া গেছে। এবার থেকে আমজনতার জন্যও খোলা বাজারে পাওয়া যাবে এই দুই ভ্যাকসিন। দামেও সস্তা হবে।
সেরাম ইনস্টিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের তৈরি দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন—এই দুটিই করোনার ছোঁয়াচে প্রজাতিদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আগেই বলেছিল, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে বলে দেখা গেছে।
এই টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ৮৪ দিনের ব্যবধান থাকলেও, প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হচ্ছে। আর কোভ্যাক্সিন টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছাড়াও কোভিডের ব্রিটেন স্ট্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন ও ব্রাজিলীয় স্ট্রেন থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট রুখতেও এই দুই টিকা কার্যকরী হবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে প্রথম টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পায় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। তারপর সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেওয়া হয়। কোভ্যাক্সিন দেশের তৈরি টিকা, অন্যদিকে, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি টিকার অনুকরণে তৈরি কোভিশিল্ড। একুশের ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরে এই দুই টিকাই দেওয়া হচ্ছিল জনসাধারণকে।
করোনার টিকা বাজারে ছাড়া যাবে কিনা সে নিয়ে আগেই আলোচনা চলছিল। কোভিড যেভাবে বাড়ছে দেশে তাতে টিকার চাহিদা বহুগুণে বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য ওষুধের মতো করোনার প্রতিষেধকও ওষুধের দোকানে বিক্রি করার প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ কমিটি।
ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) জানিয়েছে, বাজারে কম দামেই মিলবে করোনার এই দুই ভ্যাকসিন। এখন কোভ্যাক্সিন টিকা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিতে গেলে তার দাম পড়ে ১২০০ টাকা।
সার্ভিস চার্জ আরও ১৫০ টাকা। কোভিশিল্ডের দাম ডোজ প্রতি ৭৮০ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে দুই টিকারই ডোজ প্রতি দাম ২৭৫ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে টিকার দাম ঠিক করেছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)।